ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রম ঘোষিত হলেও নেত্রকোনা জেলার স্কুল, কলেজ ও
মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার শিক্ষা কার্যক্রম কাঙ্ক্ষিত
লক্ষ্যে এগোচ্ছে না। নেত্রকোনা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা
যায়, জেলায় ২৫৩টি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্কুল, ২৯টি কলেজ, ১৭টি
কলেজ এবং ৮৯টি মাদ্রাসা রয়েছে। ২২৮টি মাধ্যমিক স্কুলের মধ্যে ৭৮
বিদ্যালয়ে ৩৫২টি কম্পিউটার রয়েছে। এর মধ্যে ১০৩ জন শিক্ষকের পদ শূন্য। এ
ছাড়া ৪৬টি (২৯+১৭) কলেজ ও ৮৯টি মাদ্রাসায় মোট ৮৯টি কম্পিউটার রয়েছে।গত
২৬ সেপ্টেম্বর হিরণপুর উচ্চবিদ্যালয়ে বেলা পৌনে তিনটায় গিয়ে দেখা যায়,
কম্পিউটার শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান তিনজন শিক্ষার্থী নিয়ে ক্লাস করছেন।
তিনি বলেন, ‘কম্পিউটার কম থাকায় সবাইকে ব্যবহারিক ক্লাসের সুযোগ দেওয়া
যায় না।’ নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রায়হান, রুবেল ও রাজপ্রিয় জানায়,
কম্পিউটার শিখে তাদের অনেক ভালো লাগছে।হাওর অঞ্চলের খালিয়াজুরী পাইলট
উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমানের সঙ্গে আলাপ করা হলে তিনি
জানান, তাঁর বিদ্যালয়ে গত বছর পাঁচটি কম্পিউটার দেওয়া হলেও কোনো
শিক্ষার্থী কম্পিউটার বিষয়ে পড়ছে না। আগামী বছর যাতে এ বিষয়ে পড়ে, সে
জন্য তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন। জেলা শহরে অবস্থিত আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি
উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাসুদেব চন্দ্র সাহা বলেন, নবম-দশম শ্রেণীতে
১৬ জন শিক্ষার্থী কম্পিউটার বিষয়ে পড়ছে। শিক্ষার্থীদের কাছে কম্পিউটারের
সিলেবাস কঠিন, তাই কম্পিউটারের বিকল্প বিষয়টির প্রতি জোর দেয়, যাতে তারা
সহজে জিপিএ-৫ পেতে পারে। তিনি কম্পিউটার শিক্ষাকে প্রয়োজনে বাধ্যতামূলক
করার পক্ষে জোর দেন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন,
‘বিজ্ঞান শিক্ষার ভীতির কারণে শিক্ষার্থীর হার কম। শহরের স্কুলগুলোতে কিছু
শিক্ষার্থী কম্পিউটার পড়ছে। আশা করছি ২০১২ সালে কম্পিউটার বিষয়ে
শিক্ষার্থী বাড়বে।’— প্রথম আলো,